বুকের বাঁ পাশে রক্তোদ্যান ঘেঁষে
একটা দেয়াল তুলতে চাই,
যার প্রতিটা ইট ঘোষণা করবে আমার আত্মার অধিকার-
আত্ম-অধিকার।
অলখে থাক না কিছু জমানো দুঃখ গোলাপের পাপড়িতে
আপন হৃদয়োদ্যানে একান্তই আপনার হয়ে।
ডালটা বেখেয়ালে নাড়িয়ে দিও না প্রিয়,
মাসুম দুঃখগুলো ঝরে যাবে যে তুষারের মতো করে!
নিরাশ হয়ো না, দেয়ালের মাঝখানে রচনা করব একটা নিরেট দরজা,
যার চাবি থাকবে প্রিয় শুধু তোমারই হাতে।
যখন মন চায় হৃদয়ে এসো,
এলোমেলো করে দিও জমাট তুষাররাশি।
জানো, আমি সাঁতার শিখে গেছি!
যন্ত্রণার অথৈ সাগর হৃদয়ে, আমি দিব্যি ভেসে রই।
নিস্তরঙ্গ এ সাগর নিকষ আঁধারে ঢাকা;
এখানে এসো না প্রিয়, পথ হারাবে!
ভাবছি একটা জাহাজ বানাব
প্রিয়, শুধু তোমারই জন্য!
হৃদয়ের নির্জন দ্বীপে এসো একদিন রক্তপ্রবাল হাতে।
সাইরেন বাজিও না যেন, এ দ্বীপে গাংচিলেরা ঘুমায়!
পদ্মহীন মানস সরোবরে কিসের আশায় আসো রোজ
মৌমাছি হয়ে?
এখানে এখন জল ছাড়া কিছু নেই!
এখানে পদ্মভ্রমর বেকার ওড়ে,
এখানে কৌমুদী অপাংক্তেয়।
তবু দ্বিপ্রহরে সরোবরে এসো অতিথির ছদ্মবেশে,
তোমাকে পানকৌড়ির গান শোনাব!
আমায় ঘিরে দ্বিধা ও আশার কানামাছি খেলা শেষে
একটা নীলকমল ফুটুক শূন্য হৃদয় সরোবরে,
একটা লাল গোলাপ ফুটুক হৃদয়োদ্যানে সহস্র কালো গোলাপের ভিড়ে,
একটা সূর্য উঠুক ফেনিল হৃৎ-সাগরের বুক চিরে,
একটা রক্তলাল সূর্য...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
যাপিত জীবনে নানা যন্ত্রণার মাঝেও আমরা বেঁচে থাকি একবুক আশা নিয়ে- দুঃখের অমানিশা শেষে উঠবে সুখের নতুন সূর্য। যার আলো ছড়িয়ে পড়বে জীবনজুড়ে। মনে দ্বিধা কাজ করে- সূর্য উঠবে তো! তবু আশা প্রতিনিয়ত আলো জ্বেলে থাকে সূর্যের মতো করে। কবিতার মূল সুর এটাই।
৩০ সেপ্টেম্বর - ২০২৩
গল্প/কবিতা:
২৩ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।